
Cinemaking is a Largest International Film Distribution and Coproduction Company in South Asia. Organizer of the Cinemaking International Film Award (CIFA) and Co organizer of the Cinemaking International Film Festival (CIFF)
Founding Story
মাধ্যমিক পাশ করার পরেই আমার ইচ্চা হলো শুধু কবিতা, গল্প লেখা-লেখি করে হচ্ছেনা, সিনেমা নির্মান করতে হবে। যদিও সিনেমার ভূত আমার মাথায় আরো আগেই চেপেছিলো। মাধ্যমিক পরিক্ষার পরে ফলাফল প্রকাশের আগে যে সময় টুকু পাওয়া যায় সেই সময়েই আমার গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে নির্মান করলাম ৩ টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, সময় ২০০৮। স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে প্রচার হবার পরে খুবই ভালো রেসপন্স পেলাম। আগ্রহ বেড়ে গেলো। কিন্তু উচ্চ শিক্ষায় বিভোর থাকায় সিনেমার নিশা আমাকে সাময়িক স্থগিত করলো। ২০১৪ সালে প্রকৌশল পড়া লেখা শেষ করেই কলেজে জয়েন করলাম, কিন্তু চাকরি ভালো লাগলো না। কারণ পড়ালেখার পাশাপাশি ইতমধ্যেই আমার সাংবাদিকতাও চলছিলো।
২০১৫ সালে, অত্যান্ত সখের বশেই একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সমন্বয়ক ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে যোগদান করলাম, পাশাপাশি চললো, স্বলপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান ও নানা কর্মশালা এবং শিখার চেষ্টা। বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম, জানার চেষ্টা করলাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে। বিভিন্ন সনামধন্য পরিচালকেদের চলচ্চিত্র পৃথিবীর বিভিন্ন উৎসবে প্রেরণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি কিছু দিন পরামর্শক হিসেবে একটি প্রডাকশন কম্পানীতে চাকুরী করলাম।
২০১৭ সালে সিনেম্যাকিং নামে ফেসবুক পেজ তৈরী করে বিশ্বের নানা দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক ও উৎসব আয়োজকদের সাথে একটা যোগাযোগের সুযোগ হয় এবং কিছুটা পরিচিতি পাই। এর মধ্যেই আসামের গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেলাম। প্রথম বার দেশের বাহিরে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আমন্ত্রণ আমাকে মুগ্ধ করলো। অংশগ্রহণ করালাম। ততদিনে সিনেম্যাকিং এর মাধ্যমে বহুদেশে পরামর্শক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি। সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবের দুইবার বাংলাদেশী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করলাম। ইন্দুস ভেলী আন্তর্জাতিকি চলচ্চিত্র উৎসব দিল্লীর, বাংলাদেশ সম্বন্নয়কের দায়িত্ব পালন করলাম। মাঝে কিছুদিন একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থাতেও সম্পৃক্ত থেকে অভিজ্ঞতা নিলাম।
২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠা করি ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর ফিল্ম ডেভেলোপমেন্ট এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে সিনেম্যাকিং এর ব্যবসায় আন্তনিয়োগ করলাম। সুযোগ পেলাম ইউরোপের দেশ জর্জিয়ার গোল্ডেন বাটারফ্লাই চলচ্চিত্র উৎসবের দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের। সফল ভাবে এই দায়িত্ব পালন শেষে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব সমূহেও অংশগ্রহণ করতে থাকলাম এবং বিভিন্ন দেশের সিনেমা অনলাইনে দেখে পরামর্শ ও উৎসবে জমাদিতে সহায়তা করতে থাকলাম। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে একটি উৎসব করার পরিকল্পনা থাকলেও হয়ে উঠেনি, ফেস্টিভালের নাম কি হবে এটা নিয়ে যথেষ্ট গবেষনার পরে সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নাম চূড়ান্ত করি। তবে এই উৎসবে সিনেমা জমাদানের অভিনব পদ্ধতি আবিস্কার করেছি, যা পৃথিবীর প্রথম চলচ্চিত্র উৎসব যেখানে সরাসরি সিনেমা জমা দেওয়ার কোন পদ্ধতি নেই। এই উৎসবে জমা দেওয়ার আগে সিনেমাকে অবশ্যই সিনেম্যাকিং এ্যাওয়ার্ড পেতে হয়। ২০১৯ সালে আসামে ও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডেলিগেট হিসাবে অংশ গ্রহণ শেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলাম ২০২০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র আয়োজন করবো এবং উৎসব হবে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে। ২০২০ সালে রাজস্থান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরী হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ৬ টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরী হয়েছি।
বর্তমানে সিনেম্যাকিং ৭০ অধিক দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে পরামর্শক, পরিবেশক ও সহযোগি হিসাবে । ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিনেম্যাকিং পরামর্শক সেবা দিয়ে শুরু করলেও দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পরিবেশক এবং চলচ্চিত্র সহপ্রযোজক প্রতিষ্ঠান। সিনেমা নির্মানের বিভিন্ন কারিগরী সেবাও প্রদান কের সিনেম্যাকিং। সেই সাথে সিনেম্যাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম সংস্করণেই অর্ধশতাধিক দেশের দেড়শতাধিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসব করায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্বরা ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুরুতে সিনেম্যাকিং এর পথচলা সহজ ছিলোনা, নানা বাধা অতিক্রম করে সিনেম্যাকিং এগিয়ে যাচ্ছে, শুধুই সিনেমার উন্নয়নে সিনেমার লোকদের সাথে। আমাদের এই পথের সঙ্গী সিনেমা সংশ্লিষ্ট সকলেই।